- 01 অক্টো 2024
দ্বিগুণ পেঁয়াজের দাম, অনুসন্ধানে বেরিয়ে এলো ‘ভয়ংকর’ তথ্য
রাজধানীর খুচরা বাজারে একাধিক সবজি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও কিছু সবজির দাম ৮০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। সঙ্গে একাধিক সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, মুলার কেজি ৬০, শসা ৮০, কাঁকরোল ১২০-১৪০, করলা ৬০, টমেটো ৪০ এবং মিষ্টিকুমড়া ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়শ বিক্রি হচ্ছে ৭০, ধুন্দুল ১০০, ঝিঙা ১০০, গোল বেগুন ১০০, লম্বা বেগুন ৮০, পটল ৭০, কচুর লতি ৮০, বরবটি ৮০, চিচিঙ্গা ৭০, কাঁচা মরিচ ১০০ এবং পেঁপে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সঙ্গে প্রতি পিস লাউ ৬০, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০, লেবু মানভেদে প্রতি হালি ২০-৩০, আলুর কেজি ৩৫-৪০ এবং গাজর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা।
মালিবাগ কাঁচাবাজারে ছুটির দিন নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. শাকিল বলেন, বাজারে ফের অস্থিরতা শুরু হয়েছে। রোজা ও ঈদে বাজারে একপ্রকার স্বস্তি ছিল। হঠাৎই অসাধুরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে নাজেহাল করে ফেলছে। যে পঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকায় কিনতাম, এখন ৬৫ টাকায় কিনেছি। সবজির দামে আগুন। হাত দেওয়া যাচ্ছে না। সরকারের উচিত হবে রোজা ও ঈদে যেভাবে বাজার তদারকি করে নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল, এখনো একইভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা। এতে আমাদের মতো ভোক্তারা একটু হলেও স্বস্তিতে থাকবে। কারণ, সবাই ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থা রেখেছে। তার আমলে যদি পণ্যের সিন্ডিকেটদের না ধরতে পারে, তাহলে সরকারের ব্যর্থতা হবে।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন যুগান্তরকে বলেন, পণ্যের বাজার এখন কে বা কারা নিয়ন্ত্রণ করছে, সরকারের কাছে সে তথ্য থাকার কথা। যারা হঠাৎ করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে বাজারে অস্থিরতার চেষ্টা করছে, তাদের চিহ্নিত করে প্রকাশ্যে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কারণ, রোজা ও ঈদের বাজারে যে পরিমাণে স্বস্তি বিরাজ করেছে, তা সব মহলে আলোচনা হয়েছে। এ স্বস্তি ধরে রাখতে অন্তর্বর্তী সরকারকেই তৎপর হতে হবে। এতে ক্রেতাসাধারণ উপকৃত হবে।